এবার অস্ট্রেলিয়ার নায়ক দিনশেষে সংবাদ সম্মেলনে হাজির ছোট্ট শিশু কন্যাকে নিয়ে। ফুরফুরে আমেজে পরে জানালেন, খেলাটা ছেড়ে দেওয়ার পরও তার জীবন থাকবে আনন্দে ভরপুর। অপরাজিত সেঞ্চুরি করে বিপদে পড়া অস্ট্রেলিয়াকে উদ্ধার করে দারুণ লড়াইয়ে রাখার পর আলোচনায় উসমান খাওয়াজা। অস্ট্রেলিয়ার নায়ক দিনশেষে সংবাদ সম্মেলনে হাজির ছোট্ট শিশু কন্যাকে নিয়ে।
ফুরফুরে আমেজে পরে জানালেন, খেলাটা ছেড়ে দেওয়ার পরও তার জীবন থাকবে আনন্দে ভরপুর। এজবাস্টনে অ্যাশেজ সিরিজের প্রথম টেস্টের দ্বিতীয় দিন শেষে সমান তালে লড়ছে অজিরা। আর সেটা হয়েছে খাওয়াজার জন্য। অজিদের ৫ উইকেটে ৩১১ রানের মধ্যে বাঁহাতি ওপেনারই করেছেন অপরাজিত ১২৬ রান। হাতে পাঁচ উইকেট নিয়ে সফরকারীরা পিছিয়ে ৮২ রানে।
এদিকে টেস্টে পঞ্চদশ সেঞ্চুরি পেলেও একদিক থেকে এটি প্রথম। চির প্রতিদ্বন্দ্বী ইংল্যান্ডের মাঠে যে এটাই প্রথম। সেঞ্চুরি করে উদযাপনও হয়েছে বিশেষ। খাওয়াজা জানান প্রতিপক্ষ সমর্থকদের বাঁকা কথা তাকে দিয়েছিল আরও তাতিয়ে, 'আমি যখন নেটে যাচ্ছিলাম শুনতে পাচ্ছিলাম বলা হচ্ছে, আমি ইংল্যান্ডে রান করতে পারব না। এটা স্বাভাবিকের চেয়ে আমাকে বেশি আবেগী করেছে (সেঞ্চুরি পাওয়ার পর)।'
খাওয়াজার সংবাদ সম্মেলনে শিশু কন্যা বারবারই কেড়ে নেয় সবার নজর। মোবাইল, মাইক্রোফোন ধরে খেলতে চাওয়া মেয়েকে পরে সামলে নিয়ে এই ব্যাটার জানান, পরিবার আশেপাশে থাকলেই ভালো খেলার রসদ পান তিনি। আর খেলা ছেড়ে দেওয়ার পরও জীবন যে কত বিপুল, তা টের পান সন্তানকে দেখে, 'এই ছোটরা আমাকে তরুণ করে রাখে এবং টের পাইয়ে দেয় যে ক্রিকেট খেলা ছেড়ে দেওয়ার পরও আমার জীবনে অনেক কিছু থাকবে।'
পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত খাওয়াজা ছোট বেলা থেকেই বড় হয়েছেন অস্ট্রেলিয়ায়। বিয়ে করেন অজি তরুণীকে। নিজের ক্যারিয়ারে ছুটে চলায় ৩৬ বছর বয়েসী খাওয়াজা বড় অবদান দেখেন স্ত্রী রাকেলের, 'আমার কাছে উপভোগ করার বিষয়। আমার স্ত্রী দুর্দান্ত মানুষ। আমার পুরো ক্যারিয়ারে অসাধারণ ভূমিকা রেখেছে।'
জীবনে খেলায় সফল-ব্যর্থ হওয়ার চেয়েও অন্য অনেক কিছু আছে। এই ভাবনায় চালিত হয়ে সব কিছু সহজ করে নিচ্ছেন তিনি, 'এই দৃষ্টিভঙ্গি আমাকে সহজ রেখেছে। উপভোগ করে যতটা পারা যায় করব। শূন্য রানে আউট হই বা সেঞ্চুরি করি।;
অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ৬৩ টেস্ট খেলা খাওয়াজা আর কতদিন আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলবেন নিশ্চিত নয়, তবে আরেকটি অ্যাশেজ খেলার সম্ভাবনা যে নেই তা অকপটে জানিয়েছেন তিনি, 'প্রতিটি টেস্ট ম্যাচই আমার জন্য বোনাস, কারণ ভেবেছিলাম ক্যারিয়ার শেষ হয়ে গিয়েছে। আমার কাছে এইটাই শেষ অ্যাশেজ আমার। যদি না আমি জিমি অ্যান্ডারসন হয়ে ৪১ বছরে ফিরে না আসি।'